ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী দুর্বৃত্ত ও তাদের লোকেরা এই হামলা করে মুসলমানদের খেপিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। যাতে করে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা করে এবং ওই ছবি, ভিডিও পশ্চিম দেশে দেখাতে পারে। এই হচ্ছে তাদের ষড়যন্ত্র।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছর হামলা, মামলা, গ্রেপ্তার, বিনা বিচারে আটক, গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করে আওয়ামী লীগ সরকার একটা ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছে। অন্তত ১২ লাখ কোটি টাকা তাঁরা পাচার করেছেন। এই রাজত্ব ভেঙে দিয়েছেন আবু সাঈদ। আবু সাঈদের পথ ধরে অসংখ্য ছাত্র-শ্রমিক বুকের রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছেন।
এই অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, কৃষক-মজুর সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম প্রমুখ। গণসংলাপে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।
ফ্যাসিস্টদের সংবিধান, শাসনব্যবস্থা, আইনকানুন বহাল রেখে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। গণতন্ত্র কায়েম করতে হলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দরকার বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সমর্থন করলেও মানুষ কষ্টে আছে’ বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বেশি, কৃষকের সারের দাম বেশি, হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার হয়নি। গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। ফুলবাড়ীতে হত্যা করা হয়েছিল, বিচার হয়নি।ফ্যাসিস্টদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার থাকে না বলে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ফ্যাসিস্টরা আমাদের খুন করবে, আর তারা মাফ পেয়ে গিয়ে বিনা বিচারে আবার লুটে খাবে, এই সুযোগ তাদের দেওয়া যাবে না। দেশের মাটিতে সব ফ্যাসিস্টের বিচার হবে।’
0 Comments