ছিনতাই ও ডাকাতি




মোহাম্মদপুর থেকে আরো ২৯ জন গ্রেপ্তার 





 ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আরও ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তাদের আটক করা হয়।   আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। 


  গতকাল রাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের একটি বাসা থেকে ৭ জনকে আটক করে।   এ সময় ২টি বিদেশি পিস্তল, ২০টি গুলি ও ৫টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।


  পৃথক অভিযানে পুলিশ ১৩ জনকে ও র‌্যাব ৯ জনকে আটক করেছে।

এর আগে গত শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে ৪৫ জনকে আটক করে যৌথবাহিনী।     রোববার মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৪ জনকে আটক করা হয়, এর মধ্যে যৌথ অভিযানে ২২ জনকে আটক করা হয়।     শনিবার থেকে চলমান অভিযানে মোহাম্মদপুর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মোট ১০৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে মোহাম্মদপুরে অন্তত ২২টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।     এর মধ্যে অক্টোবরে মারা গেছেন পাঁচজন।     এ ছাড়া অনেক লুটপাট, ডাকাতি ও চুরির ঘটনাও ঘটেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র বিদ্রোহে সরকার পরিবর্তনের পর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে বসতি স্থাপনকারী দুর্বৃত্তদের তৎপরতা বেড়েছে।  ঢাকা উদ্যান, বিচলাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় আগের পেশাদার ডাকাতদের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে নতুন অপরাধী চক্র।  এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  এরপর ওই এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালায়।



 গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  শুধু মোহাম্মদপুর নয়, পাশের থানা ধানমন্ডিতেও একের পর এক ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।


ধানমন্ডি থানা সূত্র জানায়, চলতি মাসে ৫টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।  এ ছাড়া চলতি মাসে ১৬ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, ধানমন্ডির মিরপুর রোড ও সাতমসজিদ রোডে প্রতিদিনই একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।  তাদের অভিযোগ, ধানমন্ডিতে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই।

Post a Comment

0 Comments